২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৩৭

অস্বস্তি নিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ   © সংগৃহীত

মাত্র ২ উইকেটে ৯৮ রান করা বাংলাদেশ পরের ৫৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে। একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শান্ত, মুমিনুল, মুশফিকুররা। অনেকটা নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিক, মুমিনুলের মতো অভিজ্ঞরা। দুজনই মাসাকাদজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আর মুজারাবানির শর্ট বলে সাজঘরে ফেরেন শান্ত-মিরাজ। 

দ্বিতীয় সেশনে ২৬ ওভার ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। ৭০ রান তুলতে ৫ উইকেট খুইয়েছে তারা। এতে বাংলাদেশকে দুইশর নিচেই গুটিয়ে দেবার আশা জাগিয়েছে সফরকারীরা। চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে  বাংলাদেশের রান ১৫৪। ১০ রানে জাকের এবং ৪ রানে ব্যাট করছেন হাসান।

দ্বিতীয় সেশনেও সাবধানী শুরু করেছিলেন শান্ত-মুমিনুল।  সেট হয়ে ফিফটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। তবে সেটা আর হলো হয়ে উঠেনি। দলীয় সেঞ্চুরি ও নিজের ফিফটি ছোঁয়ার আগেই তার বিদায়ঘণ্টা বাজে তার। মুজারাবানির শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৪০ রানে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক।

এরপর আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তার শর্ট বলে সহজ ক‍্যাচ তুলে দেন বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট ব‍্যাটার মুশফিকুর রহিম। এই স্পিনারকে গায়ের জোরে লেগে খেলেছিলেন। তবে চাহিদা অনুযায়ী ওপরে উঠেনি বল। ফলে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নেন ব্রায়ান বেনেট।

তবে শূন্য রানে 'জীবন' উপহার পাওয়া মুমিনুল একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১০০ বলে ছুঁয়ে ফেলেন পঞ্চাশ। কিন্তু ফিফটি ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। মাসাকাদজার ফুল লেংথ বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ১০৫ বলে ৫৬ রান করে আউট হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

এরপর ক্রিজে আসা মেহেদী হাসান মিরাজও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। মুজারাবানির লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন মিরাজ। ৪ বলে ১ রান ফেরেন এই অলরাউন্ডার। তার বিদায়ে মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুল-ও আশার আলো হয়ে দাঁড়াতে পারেননি।

এর আগে, টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি বাংলাদেশ। দেখেশুনে খেলে কোন বিপদ হতে দেননি দুই ওপেনার। নতুন বলে ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারে চার স্লিপ রেখেও চাপ তৈরি করতে পারেননি রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।

তবে ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে সাফল‍্যের দেখা পেয়েছে সফরকারীরা। ভিক্তর নিয়াউচির চতুর্থ বলে পরাস্ত হন সাদমান। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে একটু আগেভাগে স্ট্রেট ড্রাইভ করে ফেলায় টাইমিং হয়নি। তবে গালিতে কোন ভুল করেননি ব্রায়ান বেনেট। ২৩ বলে এক চারে ১২ রানে সাদমানের বিদায়ে ভেঙেছে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

এক ওভার পর ফের উইকেট হারিয়েছে লাল-সবুজেরা। এবারও সেই নিয়াউচি। তার গুড লেংথের বলটিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মাহমুদুল। ১৪ রানে ফেরেন তিনি।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক শান্ত এবং মুমিনুল। ০ রানে মুমিনুলকে জীবন দেন জিম্বাবুয়ের উইকেটকিপার নিয়াশা মায়াভো। সিলেটে অসম বাউন্সে কিছুটা চালিয়ে খেলেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে ধীরস্থির সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন মুমিনুল। সময় নিয়ে ক্রিজে জমে উঠেন তারা। শেষমেশ ২৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮৪ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ।