২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৪৩

‘শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসে না, কারণ সে বুঝতে পারে না স্কুলে তার কী কাজ’

অতিথিদের সঙ্গে ড. নুরে আলম সিদ্দিকী (সব বামে)  © টিডিসি ফটো

শিক্ষার্থীদের পাঠ্য সম্পর্কে স্পষ্ট এবং বাস্তব জীবন সম্পর্কিত ধারণা দিতে না পারায় তারা ক্লাসমুখী হচ্ছে না। এ ছাড়া প্রযুক্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এগিয়ে থাকায় প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনীহা বাড়ছে তাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সহকারী অধ্যাপক ড. নুরে আলম সিদ্দিকীর আলোচনায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।

আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) শিক্ষা অধিকার সংসদ আয়োজিত ‘ইয়াং এডুকেটরস সামিট-২০২৫’ এ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন।

ড. নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কারিকুলামে বড় একটা ক্রাইসিস রয়ে গেছে। আমরা অনেক কিছু দিতে চেয়েছি শিক্ষার্থীদের, কিন্তু কোনো কিছুই দিতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা বায়োলজি কেন পড়বে, সেটা আমরা তাদের বুঝাতে পারি না। কেমিস্ট্রি তার কী কাজে লাগে, বলতে পারি না। এই ক্যানভাসটা তাদের কাছে তুলে ধরতে পারি না। ফলে তারা পড়াশোনায় আগ্রহী হয় না, ক্লাসে আসে না।

বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে না, কারণ সে অনুভব করছে না স্কুলে তার কী কাজ। স্কুল তো পুরনো (ধাঁচের), বরং সে তার চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে।

এজন্য এই মুহূর্তে কারিকুলামের সংশোধন ও সংযোজন দরকার বলে মনে করেন তিনি। ড. নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং প্রযুক্তি শিক্ষা কারিকুলামে যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া প্রবলেম–বেইজড লার্নিংকে প্রমোট করতে হবে। এটিকে বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা আসবে। এর সঙ্গে বেসিক সাবজেক্ট বাদ দেওয়া যাবে না। বেসিক সাবজেক্টের সঙ্গেই প্রযুক্তি ও এআই যুক্ত করতে হবে। একই সাথে তারা নৈতিকভাবে বা দক্ষতার সঙ্গে প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার করবে, সেটা শেখাতে হবে। শিক্ষণে প্যারাডাইম শিফট এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।