০১ অক্টোবর ২০২৫, ২০:১১

‘এই সংগ্রামে আমরা হেরে গেলে, হেরে যাবে মানবতা’

দ্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা অভিযানে শহিদুল আলম  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজার ওপর থেকে ইসরায়েলি অবরোধ তুলে নিতে সমুদ্রপথে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবীদের সর্ববৃহৎ নৌ বহর-দ্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।  গাজাবাসীকে ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে রক্ষার এই নৌ বহরে শহিদুল ইসলামের অংশগ্রহণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিন দূতাবাস। 

বুধবার (১ অক্টোবর) দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে জুলাই শহীদ আবু সাঈদের ছবি সম্বলিত টি-শার্ট গায়ে শহিদুল আলমের ছবিসহ একটি পোষ্ট দেওয়া হয়। 

পোস্টে বলা হয়, গ্লোবাল সুমুদ মিডিয়া ফ্লোটিলায় যোগ দেওয়ার জন্য  বাংলাদেশি আলোকচিত্রী, শিক্ষাবিদ এবং কর্মী শহিদুল আলমকে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে  কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইসরায়েল কর্তৃক গাজার অবৈধ অবরোধ ভাঙার এই ঐতিহাসিক মিশনে অংশ নেওয়া প্রথম বাংলাদেশি তিনি। ন্যায়বিচারের পক্ষে তার নির্ভীক কণ্ঠস্বরের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত। 

ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাস তাদের পোস্টে শহিদুল আলমের একটি উদ্বৃতিও প্রকাশ করেছে। সেখানে শহিদুল আলম বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই অভিযানে অংশ নিচ্ছি, তবে বাংলাদেশের সব মানুষের ভালোবাসা আমার সাথে রয়েছে। গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা। এই সংগ্রামে যদি আমরা হেরে যাই তবে মানবতাই হেরে যাবে।  

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নৌবহরটি গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার (২০০ নটিক্যাল মাইল) দূরে অবস্থান করছে সমুদ ফ্লোটিলা। অংশগ্রহণকারীরা সবকিছু সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং নৌবহরের প্রতিটি জাহাজে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা সংরক্ষিত রয়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, নৌবহরের সদস্যরা শান্ত এবং সজাগভাবে তাদের যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন