‘এক মেরিন অফিসারের আয় ৫০ অদক্ষ শ্রমিকের সমান’
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পাবনার ৪র্থ ব্যাচ ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাবনার বেড়া উপজেলার নগরবাড়িতে অবস্থিত একাডেমির মাঠে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) প্যারেডটি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী, এনডিসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্যারেডের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পাবনার কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন মো. তৌফিকুল ইসলাম।
বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, একজন মেরিন অফিসার প্রায় ৫০ জন অদক্ষ শ্রমিকের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেন। তাই মেরিটাইম পেশাকে আরও জনপ্রিয় করা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে সরকার কাজ করছে। সচিব হিসেবে যোগদানের পর আমি এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছি এবং এই খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দক্ষ মেরিন পেশাজীবীদের চাহিদা বাড়ছে। দেশের পাঁচটি মেরিন একাডেমি এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের মেরিনাররা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাহাজে কাজ করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় সরাসরি অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাডেটদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কুচকাওয়াজ শেষে প্রধান অতিথি পুরস্কার বিতরণ করেন। এ বছর নটিক্যাল বিভাগে ৩৩ জন এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩২ জনসহ মোট ৬৫ জন ক্যাডেট প্রি-সী কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জন করায় নটিক্যাল বিভাগের সিনিয়র ক্যাডেট ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত চক্রবর্তী কমান্ড্যান্ট স্বর্ণপদক পান। নটিক্যাল বিভাগের ক্যাডেট ক্যাপ্টেন মো. ইউসুফ হোসেন রাফিদ এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্যাডেট ক্যাপ্টেন জিসান আবেদীন কমান্ড্যান্ট রৌপ্য পদক অর্জন করেন।