০৭ আগস্ট ২০২৫, ১৮:২১

কলেজ অধ্যক্ষ-সভাপতির মারামারি

মারামারি পর পড়ে রয়েছে চেয়ার, চশমা ও ফুলদানি  © টিডিসি

নোয়াখালী সুবর্ণচরে থানার হাট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ও প্রতিষ্ঠানটির এডহক কমিটির সভাপতি মো. রহিম উল্লার মধ্যে মারামারির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, থানার হাট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি রহিম উল্যাহ কলেজের অধ্যক্ষ মান্নানকে (সাময়িক বরখাস্ত) অফিস থেকে শিক্ষক মিলনায়তনে ডেকে একটি চিঠিতে স্বাক্ষরের অনুরোধ করেন। কিন্তু চিঠিতে ওই শিক্ষকের নাম না থাকায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন এবং নিজ কক্ষে ফিরে যান। পরে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতির শার্ট ছিঁড়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে শিক্ষকের মধ্যে মারামারি ও নারী শিক্ষিকাকে হেনস্তার ফলে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ ঘটনা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জানান তারা।

এ বিষয়ে থানার হাট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক খোদেজা আক্তারের সঙ্গে বিরোধের জেরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে ৩ আগস্ট কমিটির সিদ্ধান্তে পুনরায় আমাকে দায়িত্বে বহাল করা হয়। দায়িত্ব বুঝে নিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে নোটিশ করি এবং সভাপতিকে অবহিত করি।’

তিনি বলেন, ‘সভাপতি রহিমুল্লার ডাকে শিক্ষক মিলনায়তনে গিয়ে একটি চিঠি পাই। চিঠিতে প্রেরক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং প্রাপক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খোদেজা আক্তারের নাম রয়েছে, কিন্তু আমার নাম না থাকায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করি।

এরপরই সভাপতি আমাকে মারধর করেন। জানালার সাথে ধাক্কা দিয়ে  চেয়ার ছুড়ে মারলে আমার চশমা ও টি-টেবিলের ফুলদানি ভেঙে যায়। পরে সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে নিরাপদ কক্ষে নিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ৯৯৯-এ ফোন দিলে চর জব্বর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ ঘটনাস্থলে আসেন এবং আমাকে উদ্ধার করেন।’

মারধরের বিষয়ে কলেজ সভাপতি মো. রহিম উল্লা বলেন, ‘থানার হাট স্কুলের সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষকে পুনরায় দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গেলে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং অধ্যক্ষের হাতে আমার শার্ট  ছিঁড়ে যায়।’

এ বিষয়ে চর জব্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ বলেন, ‘৯৯৯-এর ফোন পেয়ে কলেজে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে উভয় পক্ষকে প্রতিষ্ঠান ত্যাগে সহযোগিতা করি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’