ঘন কুয়াশায় তেঁতুলিয়া নদীতে সারারাত আটকা ৫০ বন্ধু, নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ
পটুয়াখালীর বাউফলে বনভোজন শেষে ফেরার পথে ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে সারারাত তেঁতুলিয়া নদীতে আটকে ছিলেন বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি জলিলুল রহমানসহ বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৮৯ সালের এসএসসি ব্যাচের ৫০ জন বন্ধু। এ ঘটনায় আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে বাউফল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে তাদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার সকালে ওই ৫০ জন বন্ধু বাউফল থেকে চর শাহজালালে বনভোজনে যান।
বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি জলিলুল রহমান জানান, প্রতিবছর এসএসসি ১৯৮৯ ব্যাচের বন্ধুরা বনভোজনের আয়োজন করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও তারা চর শাহজালালে বনভোজনে যান। বনভোজন শেষে বিকেল ৫টার দিকে বাউফলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে চর ব্যারেট এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহনকারী ইঞ্জিনচালিত কার্গো জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে রাত ৯টার দিকে আরেকটি কার্গো ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তবে অল্প সামনে এগোতেই ঘন কুয়াশার কারণে দিকভ্রান্ত হয়ে একটি চরে আটকে পড়ে কার্গোটি।
তিনি অভিযোগ করেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করা হলেও তাদের উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে বাউফল থানায় জানানো হলে থানা পুলিশ ভোরের দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। সারারাত ভয়-ভীতি, আতঙ্ক ও ক্ষুধা নিয়েই নদীতে আটকে থাকতে হয়েছে ৫০ জন বন্ধুকে।
এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, খবর পাওয়ার পর রাত ১টার দিকে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা শুরু করি। ভোর ৫টার দিকে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হই এবং চর ব্যারেট এলাকা থেকে সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
তবে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কোনো সদস্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।