২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:২৭

যশোরে হঠাৎই বেড়েছে শীতের তীব্রতা

তীব্র শীতে জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে  © টিডিসি

যশোরে হঠাৎই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। প্রচণ্ড কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তিন-চার দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঠান্ডা বাতাস, যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) যশোরে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা ও উত্তুরে বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি ছিল তীব্র। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ ছিল অত্যন্ত কম।

কুয়াশা এতটাই ঘন যে অনেক সময় বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে। হিমেল হাওয়ায় শুধু মানুষ নয়, প্রাণিকুলও থরথর করে কাঁপছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ।

যশোরের হঠাৎ হাড়কাঁপানো শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বেলা বাড়লেও ঘর থেকে বের হতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বর, হাঁচি, কাশিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান করাসহ গরম কাপড় ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা শ্রীধর ঠাকুর বলেন, ব্যাপকভাবে শীতের ব্যাপকতা বেড়েছে। বৃদ্ধ মানুষদের শীতে খুবই কষ্ট হয়। হালকা করে সূর্যের আলো পাওয়া যাচ্ছে। বেলা ১ টার পর সূর্য উঠলে সারা দিন তিনি রোদে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রচণ্ড শীতে তার খুবই কষ্ট হচ্ছে।

বেগম খাতুন বলেন, তার বাড়ি চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। তার নিজস্ব কোন জায়গা-জমি নেই। লোকের জায়গায় একটি ছোট ঘর তুলে তিনি বসবাস করেন। একটি মাত্র তারও বিয়ে হয়ে গেছে। এখন তার বয়স ৮০ বছরের বেশি। প্রচন্ড শীতে তিনি সারা দিনরাত আগুন করেন। দিনের বেলা পাতা কুঁড়িয়ে রাখেন তিনি। আর বিকেল থেকেই তিনি আগুন পোহানো শুরু করেন। তার আগুন পোহাতে মহল্লার অনেকে আসেন। কিন্তু কয়েকদিন প্রচণ্ড শীত পড়ছে। সেই সঙ্গে বাতাস বইছে। তাই শীতে খুব কষ্ট হচ্ছে।