১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:৩২

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে যত্রতত্র পশু জবাইয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে

একটি মাংসের দোকান  © টিডিসি

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় যত্রতত্র গবাদিপশু জবাই ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রির কারণে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারি কসাইখানা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে খোলা জায়গা ও সড়কের পাশে পশু জবাই করা হচ্ছে। এদিকে সঙ্গে চড়া দামে মাংস বিক্রি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

সরেজমিনে রামগঞ্জ মাংস বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি গরুর মাংসে প্রায় ৩০০ গ্রাম হাড় ও চর্বি মিশিয়ে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ ছাড়া মহিষের মাংস ৭৭০ থেকে ৮৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, পৌর শহর ও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কসাইখানা থাকলেও সেগুলো ব্যবহার না করে দোকানের ভেতর, রাস্তার পাশে ও নোংরা পরিবেশে কোনো ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই রোগাক্রান্ত গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করা হচ্ছে। রামগঞ্জ পৌর শহরের থানা বাইপাস সড়ক ও সোনাপুর ওয়াপদা সড়কের পাশে প্রতিদিনই সড়কের ওপর পশু জবাইয়ের চিত্র দেখা যায়। এতে একদিকে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই তদারকির জন্য পৌরসভা ও প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে পশু চিকিৎসক, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এবং চামড়ার মান পরীক্ষার জন্য কিউরেটর থাকার কথা থাকলেও রামগঞ্জে তাদের কার্যক্রম চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

এ ছাড়া মহিষের মাংসকে গরুর মাংস, বাসি মাংসকে টাটকা এবং বকরি ও পাঠার মাংসকে খাসির মাংস বলে বিক্রি করে সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে রামগঞ্জ পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আলমগীর কবির বলেন, পৌর কসাইখানা থাকা সত্ত্বেও কসাইরা সরকারি বিধিবিধান উপেক্ষা করে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যত্রতত্র পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।