ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যতিক্রমী আয়োজন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে দোয়া মাহফিল ও খতমে কোরআনের আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং অসুস্থ ওসমান হাদীর দ্রুত সুস্থতা কামনায় এই ব্যতিক্রমী ধর্মীয় কর্মসূচির আয়োজন করে আলোচিত সামাজিক ও মানবিক সংগঠন “হেল্পলাইন কমিউনিটি বাংলাদেশ”।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় পৌর মুক্তমঞ্চে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০ জন হাফেজে কোরআনের অংশগ্রহণে বিশেষ খতমে কোরআন সম্পন্ন করা হয়। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রূহের মাগফিরাত, দেশের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অসুস্থ সদস্য ওসমান হাদীর সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের চেয়ারম্যান বায়জিদ আহমাদ ফারদিন বলেন, মহান বিজয় দিবস কেবল একটি ঐতিহাসিক দিন নয়; এটি বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়, আত্মত্যাগ ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সেই শহীদদের স্মরণ ও তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনার অংশ হিসেবেই আজকের এই ধর্মীয় আয়োজন।
সংগঠনের একাধিক সদস্য জানান, ধর্মীয় আয়োজনের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা যেমন নৈতিক দায়িত্ব, তেমনি সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ধরনের আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধের সংযোগ ঘটাতে সহায়ক হবে বলে তারা মনে করেন।
সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন মাহদী বলেন, বিজয় দিবস আমাদের গর্বের দিন। এই দিনে শুধু আনন্দ নয়, যারা জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করা আমাদের দায়িত্ব। একই সঙ্গে সমাজের একজন অসুস্থ মানুষ ওসমান হাদীর সুস্থতার জন্য সম্মিলিত দোয়া – এটাই আমাদের মানবিক দায়বদ্ধতা।
তিনি আরও বলেন, সম্মিলিত দোয়ার শক্তি অপরিসীম। এ বিশ্বাস থেকেই মহান বিজয় দিবসে এই আয়োজন।
অনুষ্ঠান ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যেও ইতিবাচক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই বলেন, বিজয় দিবসে দোয়া মাহফিল ও খতমে কোরআনের মতো এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন অবশ্যই প্রশংসনীয়।
এ সময় সংগঠনের উপদেষ্টা ইব্রাহিম খান সাদাত, সমাজসেবক আবুল বাশার, সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।