ফেরীঘাটে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা, ৯৯৯ নম্বরে ফোনকলে উদ্ধার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ৭ নম্বর ফেরীঘাটে মানসিকভাবে অসুস্থ এক অন্তঃসত্ত্বা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষজনের মধ্যে কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। অতপর, ৯৯৯ নম্বরে কল এক পথচারী পুলিশকে জানালে পুলিশ জরুরি ভিত্তিকে ভূক্তভোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ৭ নম্বর ফেরীঘাটে মানসিকভাবে অসুস্থ এক গর্ভবতী নারীর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এই ঘাটে শতশত লোকজন আসা যাওয়া করলেও এনিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কারও ছিল না, যে যার মত চলে যাচ্ছিল। একজন নারী কলারের ব্যাপারটি দেখে খারাপ লাগে। তিনি ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং দ্রুত উদ্ধার সহায়তা কামনা করেন কারণ বিষয়টির সাথে মা এবং অনাগত সন্তান দুজনের বাঁচা-মরা জড়িত। ৯৯৯ নম্বরে ফোনকলটি গৃহীত হয় ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার দুপুরে।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল রশিদুল ইসলাম কলটি গ্রহণ করেছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি জানানো হয়। উদ্ধার তৎপরতার বিষয়টি তদারক এবং সমন্বয় করছিলেন ৯৯৯ ফায়ার ডিসপাচার ফায়ার ফাইটার সজীব মিয়া।
সংবাদ পেয়ে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অসুস্থ নারীকে (৩০) উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে দেয়। এক সচেতন নারী কলারের ফোনে বেঁচে গেল দুইটি জীবন।