০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৬

সেই চিকিৎসকের ১৭ বছরেও পদোন্নতি না হওয়ার নেপথ্যে কী

স্বাস্থ্যের ডিজি ডা. মো. আবু জাফরে সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ডাক্তার ধনদেব বর্মন  © সংগৃহীত

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কাতর্কির জেরে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মনকে ঘিরে নতুন প্রশ্ন—১৭ বছর ধরে কর্মরত এই চিকিৎসকের পদোন্নতি আটকে আছে কেন? ডিজির পরিদর্শনকালে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর গল্প নতুন মোড় নিয়েছে; চিকিৎসকের আচরণ নিয়ে সমালোচনা যেমন চলছে, তেমনি তার দীর্ঘদিনের পদোন্নতি-সংকট নিয়েও উঠছে নানা আলোচনা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির মতো শীর্ষ পর্যায়ের কর্তার সঙ্গে তর্কে জড়ানো নিয়ে জানতে চাইলে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ সাংবাদিকদের বলেছেন,  ‘ডিজির কাছ থেকে গুরুজনের মতো ব্যবহার আশা করেছিলাম। কিন্তু তিনি এসে কী কী সমস্যা, সেগুলো জানতে না চেয়ে ভেতরে কেন টেবিল, এ নিয়ে কথা বলেন।’ তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধুরা সব অধ্যাপক হয়ে গেছে। আমার চাকরিজীবন শেষ, কিন্তু আমার হয়নি বিভিন্ন কারণে। এ জন্য আমার চাকরি থেকে সাসপেনশন হলে আমি খুশি হই।’

২০১৩ সালে আমি এমএস ডিগ্রি অর্জনকারী ধনদেব বর্মন চার মাস আগে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।  এই দীর্ঘ সময়ে কেন তিনি পদোন্নতি পাননি সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেল নানা তথ্য। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছরে কোনো পদোন্নতি পাওয়ার প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, অবহেলা করে ডা. ধনদেব ফাউন্ডেশন ট্রেনিং করেননি, ডিপার্টমেন্টাল পরীক্ষায় পাশ করেননি, সিনিয়র স্কেল পরীক্ষাই দেননি। 

পদোন্নতির ক্রাইটেরিয়াগুলো তিনি পূর্ণ করেননি।  তাই আওয়ামী সরকার তাকে পদোন্নতি দেয়নি।  এই অন্তবর্তীকালীন সরকার তাকে ইনসিটু পদোন্নতি দিয়েছে।  চলতি বছরের ২৯ জুলাই তিনি সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। 

ডা. বর্মনের পরিচিত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,  ডা. বর্মন ধনদেব ময়মনসিংহ শহরে থেকে বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন করার সুবিধা নেওয়ার জন্য আগে পদোন্নতির জন্য আবেদন করেননি।  পদোন্নতির একটি ক্রাইটেরিয়া হল বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন জমা দেওয়ার। সেক্ষেত্রেও তার অবহেলা ছিল।