নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর ঘর থেকে মিলল লাশ, আটক ১
ঝিনাইদহ শহর সাক্ষী হলো এক চরম নিষ্ঠুরতার ঘটনায়। নিখোঁজ হওয়ার ১৩ ঘণ্টা পর সাইমা আক্তার সাবা (৩) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত প্রায় ১০টার দিকে শহরের পবহাটি এলাকার এক প্রতিবেশীর ঘর থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত সাইমা আক্তার সাবা পবহাটি এলাকার ভ্যানচালক সাইদুল ইসলামের মেয়ে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী শান্তনা খাতুন (মাসুদ হোসেনের স্ত্রী) নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির পাশের এলাকা থেকে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু সাবা। দিনভর আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি। সন্ধ্যার পর রাত ৯টার দিকে স্থানীয়রা লক্ষ্য করেন, প্রতিবেশী শান্তনা খাতুন বোরখা পরিহিত অবস্থায় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। এতে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং পরে তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে খাটের নিচে শিশুটির নিথর দেহ দেখতে পান।
তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে খবর দেওয়া হলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একই সময় সন্দেহভাজন শান্তনা খাতুনকে আটক করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ হোসেন বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।