০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫

আজ থেকে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ

আজ থেকে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ  © সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের আলোচনা ও নীতিনির্ধারণের পর অবশেষে মন্ত্রণালয়ের ১২টি নির্দেশনা মেনে পুনরায় চালু হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে তিনটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা যাবে।

মন্ত্রণালয়ের ১২টি নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হলো- বিআইডব্লিউটিএ এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি পাবে না। পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর সাংবাদিককে জানান, সকাল ৭টায় কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমবি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ যাত্রা শুরু করবে। ইতোমধ্যে টিকিট কাটা প্রায় ১৩০০ পর্যটকের ভ্রমণ অনুমতি প্রস্তুত করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দুই হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হবে না বলেও তিনি জানান। 

আরও চারটি জাহাজ—এমভি বে ক্রুজ, এমভি কাজল, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও আটলান্টিক ক্রুজ—ঘাটে প্রস্তুত। এই জাহাজ চলাচলের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম জানান, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, বারো আউলিয়া, কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন এই চার জাহাজকে ইতোমধ্যেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তার ভাষায়, ‘সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২ নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। নিরাপত্তার কারণে এবার টেকনাফ ঘাট নয়, নুনিয়ারছড়া থেকেই জাহাজ চলাচল হবে।’

পরিবেশ অধিদফতরের কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন জানান, প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটকের সীমা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি থাকবে; পাশাপাশি নুনিয়ারছড়া ও সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় ১২ দফা নির্দেশনা জারি করে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নির্দেশনাগুলো হলো, নভেম্বরে দিনভর ভ্রমণের সুযোগ থাকবে; রাতযাপন নিষিদ্ধ। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত যাপন করা যাবে।

এছাড়া অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করতে পারবে না। পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টাল থেকে অনলাইনে টিকিট নিতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে; কিউআর কোড-বিহীন টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।

আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার টানা ৯ মাস সেন্টমার্টিনে পর্যটক প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। ভ্রমণ সময়সূচি ও পর্যটক সংখ্যা এবার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে।