২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৩

সুদের টাকার জন্য মারধরে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ, দাফন স্থগিত

প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মারধরের শিকার হয়ে আব্দুর রহিম (৫৭) নামে এক বেকারির ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বাদ জোহর তার জানাজা সম্পন্ন হলেও দাফন করা হয়নি। ন্যায়বিচারের দাবিতে মরদেহ রাখা হয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লক্ষ্মীপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে।

নিহত আব্দুর রহিম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মতলবপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ উল্যার ছেলে। তিনি সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া বাজারে মিথিলা বেকারির মালিক ছিলেন। পরিবারের জানায়, বিডিআর বিদ্রোহের সময় সরাইলে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আব্দুর রহিম চাকরিচ্যুত হন এবং ৯ মাস কারাভোগ করেন। পরে আরেক সাবেক বিডিআর সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে আমিশাপাড়া বাজারে বেকারি ব্যবসা শুরু করেন।

পরিবার আরও জানায়, চার দিন আগে বাজারের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সুদের টাকা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দুই দিন তিনি লক্ষ্মীপুরের বাড়িতে ছিলেন। বুধবার সকালে দোকানে যাওয়ার সময় ওই ব্যবসায়ী ২০–২৫ জন সহযোগী নিয়ে বাজারের মাঝখানে আব্দুর রহিমকে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে বুধবার রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি।

নিহতের স্ত্রী জোবেদা খাতুন বলেন, রাস্তার পাশে স্বামীর অচেতন দেহ পড়ে থাকতে দেখে এক বৃদ্ধ আমাকে ফোন দেন। হাসপাতালে প্রথমে বলা হলো হার্ট অ্যাটাক। পরে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারি, বাজারের মাঝেই তাকে পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রাখা হয়। তাই জানাজা শেষে দাফন করিনি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত দাফন দেব না।

নিহতের আত্মীয় আনোয়ার হোসেন বলেন, রহিম খুব সাদাসিধে মানুষ ছিলেন। চাকরি হারিয়ে শূন্য থেকে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এভাবে তার মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে; তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মারধরের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে।