আনোয়ারায় ‘জুলাই-৩৬ স্মৃতি’ রেগুলেটরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ইছামতি খালের ওপর ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে ৬ ভেন্টের ‘বাকখাইন–কেঁয়াগড় রেগুলেটর’। ২৪ জুলাইয়ের গণহত্যায় নিহত শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই–৩৬ স্মৃতি’ নামে এই রেগুলেটরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জুলাই যোদ্ধা ও সাবেক সমন্বয়ক জোবাইরুল আলম মানিক আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান, আহত জুলাইযোদ্ধা জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নাঈম উদ্দিন, এনসিপির উপজেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী ডালিয়া বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা এনসিপির সদস্য একেএম মোরশেদ, দিদারুল আলমসহ স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি।
পাউবোর প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান জানান, আধুনিক নকশায় নির্মিত এই রেগুলেটর প্রকল্পটি ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে শেষ হবে। এতে এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন। তিনি আরও বলেন, জুলাই শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতেই প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে ‘জুলাই-৩৬ স্মৃতি’।
জোবাইরুল আলম মানিক বলেন, ‘আগে একই স্থানে একটি স্লুইসগেট নির্মিত হলেও অনিয়মের কারণে তা এক বছরের মধ্যেই অকার্যকর হয়ে পড়ে। নতুন প্রকল্পে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না; প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে খুশি ও আনন্দ বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ইছামতি খাল দিয়ে পানি নামতে না পারায় আমাদের জমি বর্ষায় ডুবে যেত। নতুন রেগুলেটর হলে চাষাবাদ অনেক সহজ হবে। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে যাবে।’
কেঁয়াগড় এলাকার কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কৃষকরা এই প্রকল্পের জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। যদি কাজ ঠিকভাবে হয়, তাহলে ধান ও শাকসবজি সবকিছুর উৎপাদনই বাড়বে। এর আগে নির্মিত রেগুলেটরটি তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে। আশা করছি এবারে আর আগের মত অনিয়ম হবে না।’
স্থানীয়রা বলছেন, ‘জুলাই শহীদদের নামে প্রকল্প হওয়ায় এলাকাবাসীর সঙ্গে আমাদেরও এক ধরনের আবেগ জড়িত। আমরা চাই কাজটি স্বচ্ছতার সঙ্গে হোক, আর দ্রুত শেষ হোক।’