শার্শায় জেলা পরিষদের খাসজমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন খাসজমি দখল করে বহুতল মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বাগুড়ী মহিলা কলেজ সংলগ্ন নাভারণ–সাতক্ষীরা সড়কের পাশে পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের ওই ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় ভাটা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে দখল হয়ে আসা প্রায় ৪০ শতক সরকারি জমির শেষ অংশটিও এখন দখলের মুখে, অথচ প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জানা গেছে, বাগুড়ী মৌজার মেইন রোডের পাশে জেলা পরিষদের নিজস্ব প্রায় ৪০ শতক জমি রয়েছে—খতিয়ান নং ১, দাগ নং ৩২ এবং এসএ নং ৩। দীর্ঘদিন ধরে জমিটি ধীরে ধীরে দখল হয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিষদের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আশপাশের পাঁচজন মালিক প্রায় ৩৬.৫ শতক জমি দখল করে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি অবশিষ্ট সাড়ে তিন শতক জমিও দখল করে সেখানে ভবন নির্মাণে হাত দিয়েছেন ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, জেলা পরিষদের ওই জমিতে ইতোমধ্যে ৩৬টি পিলার তুলে ইট-সিমেন্টের কাজ চলছে পুরোদমে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রভাবশালী হওয়ায় শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছে না। তাদের ধারণা, তিনি জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেছেন। অতীতে যারা দখল করেছিলেন, তারাও একইভাবে করেছেন বলে তারা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা চোখের সামনে দেখেছি এই জমি কীভাবে টুকরো টুকরো করে দখল হয়েছে। এখন শেষ অংশটাও দখল হচ্ছে, অথচ প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা দেখি না।’
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনো জমি দখল করিনি। আপনি এসে কাগজপত্র দেখে যান।’
তবে নির্মাণের অনুমোদন আছে কিনা—এমন প্রশ্নে তিনি সরাসরি জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এমএ মঞ্জু বলেন, ‘সরেজমিনে গিয়ে আমি শহিদুল ইসলামকে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলেছি, কিন্তু তিনি উল্টো আরও বেশি মিস্ত্রি লাগিয়ে কাজ দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’