এটা নিয়ে নিউজ করার দরকার নেই: আনোয়ারার সাবরেজিস্ট্রার
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছেন দলিল লেখক ও সেবাগ্রহীতারা। সাবরেজিস্ট্রার জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দলিল লেখক সমিতি কলম বিরতি শুরু করায় বন্ধ হয়ে গেছে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম, ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কলম বিরতির কারণে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, সরকারও দৈনিক লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক ও সাধারণ মানুষের মতে, আনোয়ারা সাবরেজিস্ট্রি অফিস দীর্ঘদিন অনিয়মের কেন্দ্রবিন্দু। নতুন সাবরেজিস্ট্রারের যোগদানের পর দুর্নীতির মাত্রা আরও বেড়েছে।
সেবাগ্রহীতারা জমি রেজিস্ট্রি করতে বারবার আসছেন, কিন্তু খালি হাতে ফিরছেন। হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার আবু তাহের অভিযোগ করেন, ‘দলিল লেখকরা কাজ বন্ধ রাখছে। তারা বলছে, সাবরেজিস্ট্রার ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ দেয় না।’
আবদুল হান্নান বলেন, ‘আমরা সরকারি নিয়ম মেনে ফি দিতে রাজি, কিন্তু অতিরিক্ত টাকা চাইলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম উদ্দিন জানান, একটি কবলার নকলের ফি ৮৬৫ টাকা হলেও আদায় হচ্ছে ২,০০০ টাকা। দানপত্র ও অন্যান্য দলিলে ৩০–৪০ হাজার টাকা না দিলে দলিল ফেরত দেওয়া হয়।
দলিল লেখক সমিতির সদস্যসচিব মো. ইব্রাহিম মুন্সী বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রার নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। প্রতিবাদ জানালেও কোনো কর্ণপাত নেই। বাধ্য হয়ে কলম বিরতি শুরু করেছি। প্রয়োজনে বড় কর্মসূচি নেওয়া হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবরেজিস্ট্রার জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘এটা নিয়ে নিউজ করার দরকার নেই। আগামীকালকে আসেন, সব ঠিক করে দেব। দলিল লেখকদের কর্মবিরতিও সমাধান হবে।’
চট্টগ্রাম জেলা সাবরেজিস্ট্রার খন্দকার জামিরুল রহমান বলেন, ‘অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’