২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:১৬

অনুমতি ছাড়াই স্টেডিয়াম দখল করে মেলার আয়োজন, স্থানীয়দের ক্ষোভ

বাউফল পৌর শহরের পাবলিক মাঠ কাম মিনি স্টেডিয়ামে মিনি বাণিজ্য মেলার আয়োজনের জন্য পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে  © টিডিসি

পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরের পাবলিক মাঠ কাম মিনি স্টেডিয়াম দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে মিনি বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছেন ময়মনসিংহের আজাদ নামের এক ব্যক্তি। তবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এই মাঠ ব্যবহারের আবেদন করলেও অনুমতি দেননি জেলা প্রশাসক। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা। তাই মাসব্যাপী শহরের প্রাণকেন্দ্রে এ ধরনের মেলার আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বন্ধের দাবিতে তুলেছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে মেলা বন্ধের দাবিতে বাউফল ফুটবল একাডেমি মানববন্ধন শেষে দীর্ঘসময় বাউফল- বরিশাল সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় লোকজন।

আয়োজিত মেলা বন্ধের দাবিতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের চূড়ান্দ পরীক্ষার মধ্যে মেলার আয়োজন এবং পৌর শহরের একমাত্র খেলার মাঠ ধ্বংস করার প্রতিবাদে পৃথক দুটি মানববন্ধন করেছে সচেতন মহল ও উপজেলা ফুটবল একাডেমি।

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইতিমধ্যেই মাঠজুড়ে মেলার অবকাঠামো নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ করেছেন আয়োজক আজাদ। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মিনি বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেন। মেলায় স্থানীয়দের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হবে না। আয়োজক শুধুই তাদের পণ্য বিক্রি করবেন বলে অভিযোগ আছে। অন্যদিকে পাকা অবকাঠামো নির্মাণ করায় ইতিমধ্যেই খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে গেছে পৌর সভার একমাত্র উন্মুক্ত পাবলিক মাঠ। এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় অভিভাবক,  ক্রীড়ামোদী ব্যক্তি ও তরুণ কিশোরদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

মেলার আয়োজক আজাদ ক্যামেরায় কথা বলতে অস্বীকার করেন। তার একজন প্রতিনিধি বলেন, ‘মাঠ ব্যবহারের লিখিত অনুমতি এখনো পাইনি। যেকোনো সময় পেয়ে যাব। তবে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেই কাজ করা হচ্ছে। ২০-৩০ দিন খেলাধুলা না করলে কিছুই হয় না। পরীক্ষার আগেই শেষ করে ফেলব মেলা।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী জানান, মেলা পরিচালনা কিংবা পাবলিক মাঠ ব্যবহারের জন্য প্রশাসন অনুমতি দেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। খুদে বার্তা পাঠানো হলে তিনি জবাবে খুদে বার্তাই পাঠিয়েছেন। 

এ বিষয়ে বাউফলের সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. সোহাগ মিলু বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় অনুমতি যেহেতু দেয়নি, তার অফিসে একটু কথা বলে মাঠ দখল মুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।