৫ দফা দাবিতে ফেনীতে জামায়াতের মানববন্ধন
পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে ফেনীতে জামায়াতের ইসলামীর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে শহরের ট্রাংক রোডের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার শাহাদাতের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। সেই দেশে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য এখনো রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। দেশে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। তবে এর আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরে গণভোট দিতে হবে। একই সঙ্গে জামায়াতের ৫ দফা দাবি মেনে নিতে হবে।
মানববন্ধনে উত্থাপিত ৫ দফা দাবি হলো জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মাধ্যমে গণভোট প্রদান করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা’ আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট প্রদান করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঞা বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারবে না। জুলাই সনদের পাশাপাশি পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিসহ ৫ দফা দাবি সরকারকে মেনে নিতে হবে।
জেলা আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতি অবিলম্বে চালু করতে হবে। অতীতের মতো পেশিশক্তি ব্যবহার করে যারা ভোটকেন্দ্র দখল, দিনের ভোট রাতে করা—এসব পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিহত হবে এবং পেশিশক্তিকে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই অনতিবিলম্বে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করাসহ আমাদের ৫ দফা দাবি সরকারকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই।
এ সময় জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।