০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০:১৪

সাতক্ষীরায় শিক্ষক দিবসে ৪ গুণী শিক্ষককে সম্মাননা

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা  © টিডিসি

‘শিক্ষকতা পেশা: মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’ প্রতিপাদ্যে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের যৌথ উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত চারজন গুণী শিক্ষককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। 

রবিবার (৫ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তাদের সম্মালনা দেওয়া হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন কলারোয়া সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. মারুফ কবির, কালিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. হুমায়ন কবীর, কলারোয়ার রামভদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনজুরুল ইসলাম ও শ্যামনগর হায়বাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আমিনুর রহমান।

সম্মাননা প্রাপ্ত শিক্ষকরা এ সময় তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, এই স্বীকৃতি তাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি আরও আন্তরিক ও নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এদিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাশেম, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, জেলা শিক্ষা অফিসার মুফতি আবুল খায়ের, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমিন, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি আখতারুজ্জামান, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি জেলা শাখার সভাপতি মো. আমানুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মালেক গাজী, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. মোমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন কলেজ, মাধ্যমিক, প্রাথমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রিপন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম টুকু।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষক হলেন সেই মোমবাতি, যিনি নিজে জ্বলে অন্যকে আলো দেন। তাঁরা বলেন, “এই দিনে আমরা শ্রদ্ধা জানাই সেই সব শিক্ষক-গুরুজনকে, যাঁদের ত্যাগ, মমতা ও জ্ঞানের ঋণ কোনো দিন শোধ করা যায় না।

বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর শিক্ষকরা সমাজ গঠনের মূল চালিকাশক্তি। তাই শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা, প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। তাঁরা একটি ‘সম্পূর্ণ শিক্ষা নীতি’ প্রণয়ন ও তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

বক্তারা সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। পাশাপাশি শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, শিক্ষা জাতীয়করণ, কোচিং সেন্টার ও নোট-গাইড নির্ভরতা কমিয়ে বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।