তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে পদযাত্রা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বর মাসেই রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার দাবিতে রংপুরে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। রবিবার (৫ অক্টোবর) রংপুরসহ বিভাগীয় পাঁচ জেলায় একযোগে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করে।
দুপুরে প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রংপুর নগরীর শিক্ষা অফিস চত্বর এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। পদযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পদযাত্রা শেষে সমাবেশে অধ্যক্ষ দুলু বলেন, `অন্তর্বর্তী সরকার মাঝেমধ্যে বলছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শিগগিরই শুরু হবে, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সূচি এখনও জানায়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।” তিনি আরও জানান, “আজ রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা—রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে একযোগে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। ৯ অক্টোবর উপজেলা পর্যায়ে গণমিছিল ও সমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর নদীতীরবর্তী ১১টি স্থানে ১৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোতেও যদি সরকার কর্ণপাত না করে, তবে রংপুর বিভাগে লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
সাবেক উপমন্ত্রী দুলু আরও বলেন, ‘সরকার বছরের শুরুতে কাজ শুরু করার কথা বলেছে, কিন্তু নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর তা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। যেহেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় অর্থ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে, তাই আমরা চাই বিলম্ব না করে নভেম্বরেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হোক। এতে সরকার সত্যিই আন্তরিক কিনা, তা প্রমাণ হবে।’