০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৮

খুলনা বিভাগে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হলেন ড. এস এম তাজউদ্দিন

অধ্যাপক ড. এস এম তাজউদ্দিন  © সংগৃহীত ছবি

 যশোর জেলা ও খুলনা বিভাগে কলেজ পর্যায়ে (সাধারণ) শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম তাজউদ্দিন।

জানা যায়, অধ্যাপক ড. এস এম তাজউদ্দিন খুলনার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামে জন্ম করেন।তিনি বর্তমানে যশোরের আরাপপুরে পরিবারসহ বসবাস করছেন। তিনি  ২০০৬ সালের ৫ ডিসেম্বর যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে যোগদান করেন এবং বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ের একজন সম্মানিত শিক্ষক হিসেবে সুপরিচিত।

শিক্ষাজীবনে ড. তাজউদ্দিন ১৯৯৩ সালে খুলনার ছাগলাদহ আদিলুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে আজম খান কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি, ২০০০ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও ২০০১ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএড, ২০১৪ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং ২০২৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পাশাপাশি ২০২১ সালে জার্মানির IBMI প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা  ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি লাভ করেন।

 শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রাখতে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তার নেতৃত্বে ২০২৫ সালে বিটিভি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়। এর আগে ২০১৭ সালে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আঞ্চলিক পর্যায়ে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে কলেজটি। এছাড়া ২০১৮, ২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সালে আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট কলেজ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করে।

এর আগে ড. তাজউদ্দিন দুইবার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে যশোর জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালে তার নেতৃত্বে শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার মিলি জাতীয় পর্যায়ে রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও লেখালেখিতেও সমানভাবে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ইউরোপের ল্যামবার্ড প্রকাশনা থেকে তার দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে Micro Credit Management বইটি ইউরোপের ৯টি ভাষায় অনূদিত হয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ১৮টি এবং জাতীয় জার্নালে ৩টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া এইচএসসি পর্যায়ে ফিন্যান্স বিষয়ে ২টি ও অনার্স পর্যায়ে ২টি বই লিখেছেন তিনি, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সমাদৃত।

শিক্ষকতার দর্শন সম্পর্কে ড. তাজউদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক হলেন এমন একজন মানুষ, যার আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সমাজের কাছে অনুসরণযোগ্য। আমি চাই শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষিত নয়, আদর্শ মানুষ হয়ে সমাজে অবদান রাখুক।‘