১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন  © সংগৃহীত

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা নিয়ে অনিয়ম ও বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩৩ জন কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে নগর ভবনের ভেতরে এবং বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে ৩৩ জন প্রকৌশলী ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে 'বিধি বহির্ভূত 'ভাবে পদায়ন করা হয়েছিল।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগের পদে ফিরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুসারে এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক স্মারকের আলোকে (মসিকের) কিছু কর্মকর্তাকে 'অতিপ্রয়োজনীয়' জনবল হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এই প্রক্রিয়া কোনো ধরনের নিয়মনীতি মানা হয়নি। ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ সালের জনপ্রশাসন বিধি ২ (ঘ) অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দুই মাসের অধিক সময় ধরে চলতি দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। তবে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের এমন কয়েক জন কর্মকর্তা রয়েছেন, যাদের কোনো পদোন্নতি বোর্ডের আদেশ ছাড়াই একই পদে বছরের পর বছর যাবৎ চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উক্ত প্রজ্ঞাপনসমূহে বলা আছে, চলতি দায়িত্ব গ্রহণের আগে নিজস্ব পদে দায়িত্ব হস্তান্তর করে পরবর্তী সময় আবার চলতি দায়িত্বে বসতে হবে। এছাড়াও ১৮ এপ্রিল ২০২৩ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক স্মারক অনুযায়ী, চলতি দায়িত্বের মেয়াদ ছয় মাসের বেশি হতে পারে না। যদি না বিশেষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়।

কিন্তু ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষ এই নিয়ম অনুসরণ করেনি বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগের পদে ফিরিয়ে নেওয়ার আদেশ হয়েছে। ফলে তারা আগের কাজে ফিরে গেছেন।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুমনা আল মাজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং তিনি আরো জানান, বিধি অনুযায়ী তাদের ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।