গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল চার ঝুট গুদাম
গাজীপুরের পুবাইলে চারটি ঝুটের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। টানা তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও গুদামগুলোতে মজুত বিপুল পরিমাণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে মহানগরের পুবাইল থানাধীন হায়দাবারাদ এলাকায় প্রথমে ঝুট ব্যবসায়ী কাইয়ুমের গুদামে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের আরও তিনটি গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলোর মধ্যে ব্যবসায়ী মিজান ও আব্দুল আজিজের গুদামও রয়েছে। প্রথমে স্থানীয়রা পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও আগুনের ব্যাপকতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করে।
অগ্নিনির্বাপণ কাজে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট অংশ নেয়। স্থানীয় একটি পুকুর থেকে চারটি পাম্পের সাহায্যে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করে তারা কাজ চালায়। তবে গুদামের ভেতরে প্রচুর ফেব্রিকস ও দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল পাশের আবাসিক বাড়িঘর ও অন্যান্য গুদামকে রক্ষা করা। তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ঘটনাস্থলে কেউ হতাহত হয়নি। আগুন লাগার সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতের আঁধারে হঠাৎ আগুনে চারদিক আলোকিত হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় আশপাশের মানুষ আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, গুদামের ভেতরে থাকা দাহ্য পদার্থ দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। তবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট নাকি অন্য কোনো কারণে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা তদন্তের পর নিশ্চিত করা হবে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুদাম মালিকরা এ ঘটনায় নিঃস্ব হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।