১৩ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩০

ময়মনসিংহে ‘টর্চার সেলে’ নির্যাতন চালানো সেই ছাত্রদল নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার

তারাকান্দা উপজেলার ছাত্রদল নেতা হিজবুল আলমের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত  © সংগৃহীত

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় টর্চার সেলে নির্যাতন, মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনায় ছাত্রদল নেতা হিজবুল আলম ওরফে জিয়েসকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তালুকদারের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

হিজবুল উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা শাখা ছাত্রদলের সিদ্ধান্তে গঠিত কমিটির তদন্তে হিজবুল আলমের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তার সাময়িক অব্যাহতি প্রত্যাহার করে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে ১১ আগস্ট রাতে হিজবুলকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে চিঠি প্রকাশ করা হয়েছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তিনি বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে মোবাইলে বলেন, হিজবুল আলমের কর্মকাণ্ড জানার পর জেলা উত্তর ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মনোয়ার আল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: জাতীয়করণের দাবি নাকচ করে যা বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা

এদিকে চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন হিজবুল ও তার দুই সহযোগী। এর আগে আদালতে তাদের তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে বুধবার শুনানিতে হিজবুল আলমের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নাছিমা খাতুন এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তারাকান্দা থানার এসআই লিটন চন্দ্র পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে  বুধবার সকালে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিজবুল অভিযোগগুলোর দায় কিছুটা স্বীকার করেছেন। হিজবুল দাবি করেছেন, তার কাছ থেকে যারা টাকা নিয়ে পরিশোধ করতেন না, তাদের ধরে এনে সেই আস্তানায় ভয় দেখানো হতো।

‘টর্চার সেলে’ নির্যাতন চালানোর ভিডিও ছড়িয়ে পর ভুক্তভোগীদের একজন জুয়েল মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি অভিযোগ দেন। বুধবার সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। মামলায় হিজবুর আলমকে প্রধান আসামি করে আরও তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।