ঘুমন্ত অবস্থায় আগুন, দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের কাগজি টোলা এলাকায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্যের সবাই মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে একে একে মৃত্যু হয়েছে তিন সন্তান, বাবা ও সবশেষ মৃত্যু হয় মায়ের।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান পরিবারের কর্তা রিপন পেয়াদা (৩৫)। এর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তাঁর তিন সন্তান আয়েশা (১), রোকন পেয়াদা (১৪) এবং তামিম পেয়াদা (১৬)। দগ্ধ স্ত্রী চাঁদনী (২৮) মারা যান গ্রামে নেওয়ার পথে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, রিপন পেয়াদার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে।
গত ১১ জুলাই দিবাগত রাত একটার দিকে কাগজি টোলার একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় অবস্থিত বাসায় আগুন লাগে। সেই বাসায় এক কক্ষেই ভাড়া থাকতেন রিপন ও তাঁর পরিবার। ঘটনার রাতে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে কক্ষজুড়ে। আগুনে গুরুতর দগ্ধ হন পরিবারের পাঁচজনই।
দগ্ধ চাঁদনীর মামা জাকির হোসেন জানান, আগুন লাগার সময় তারা সবাই ঘুমন্ত ছিলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান।
দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ, চাঁদনীর ৪৫ শতাংশ, তামিমের ৪২ শতাংশ, রোকনের ৬০ শতাংশ এবং এক বছরের শিশু আয়েশার শরীরের ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়।