ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন-সৎকার, গোপালগঞ্জে নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন
গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহত চারজনের দাফন-সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। তবে তাদের কারোরই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হয়নি, হয়নি ময়নাতদন্তও। পরিবারের অভিযোগ, নিহতরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের শরীরে আছে একাধিক গুলির চিহ্ন।
বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকায় দিনভর চলে সংঘর্ষ, হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও।
নিহতদের মধ্যে পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহাকে বুধবার রাতে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। টাইলস মিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজীকে বুধবার রাতে এশার নামাজের পর দাফন করা হয়। এছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদারকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পরিবার অভিযোগ করেছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চারজনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাস নামে এক যুবক সেখানে ভর্তি হয়েছেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তার পেটে ও আঙুলে গুলি লেগেছে।