০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩:৩৬

উদ্ঘাটন হয়নি ময়না হত্যার রহস্য, জানাজায় জনতার ঢল 

ময়না আক্তার  © টিডিসি ফটো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নির্মমভাবে নিহত ৯ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রী ময়না আক্তারকে শেষ বিদায় জানাতে ভিড় করেন শত শত মানুষ। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে শাহবাজপুর খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তার জানাজা। সেখানে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কান্না ভেজা চোখে অংশ নেন। জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয় স্থানীয় কবরস্থানে।

বাবা প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাক দেশে ফিরে আসার পর ময়নার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা ঘিরে এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারাও জানাজায় অংশ নেন।

জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। প্রকৃত হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে নিরপরাধ কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়, সে দিকেও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও জানান, বিএনপি জেলা ইউনিট নিহত শিশুর পরিবারের পাশে রয়েছে এবং ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আইনি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

ময়নার চাচা সেলিম মিয়া বলেন, আমাদের ময়নাকে যারা এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে আমরা বাধ্য হব।

জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন  সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন মাস্টার,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, খেলাফত মজলিশ কর্তৃক নির্বাচিত সরাইল আসনের প্রার্থী মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার ও হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি বুরহানুদ্দীন কাসেমী সহ এলাকার বিশিষ্টজন ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

এর আগে গতকাল রবিবার (৬ জুলাই) সকালে শাহবাজপুর হাবলী পাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ৯ বছর বয়সী শিশু ময়নার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা ছাত্রী ছিল। তার বাবা বাহরাইন প্রবাসী।

গত ৫ জুলাই বিকেলে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় ময়না। খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না মেলায় রাতেই সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন স্বজনরা।