বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ককটেল বিস্ফোরণ-গোলাগুলিতে আতঙ্কিত স্থানীয়রা
গাজীপুর মহানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রায় বিশটি ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গাজীপুরা এলাকার সেটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড ও হোপলুন ফ্যাক্টরির সামনের পাকা রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও, এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, ঝুট মালামাল নামানো নিয়ে পুরোনো বিরোধের জেরে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা এবং ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের সূচনা হয়।
ঘটনার বিষয়ে কাজী হুমায়ুন বলেন, আমার সাথে করা জুট ব্যবসার চুক্তি হালিম মোল্লা ছিনিয়ে নিতে তার অনুসারীদের দিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। আজও তারা প্রায় ১৫০-২০০ লোক নিয়ে এসে বোমাবাজি করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা উভয় মন্জুরুল করিম রনির রাজনীতি করি।
এ বিষয়ে হালিম মোল্লার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গাজীপুরা এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় সময় এ ধরনের হামলা ও বোমাবাজি আমাদের ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৩ মে একই জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষ ঘটে, যেখানে সাংবাদিকসহ অনেকেই আহত হন। সে ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত। আমরা গাজীপুরবাসীর শান্তি চাই। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ফোরামে তুলব এবং যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।