পাবনায় ১৮ ঘন্টা বন্ধ বাস চলাচল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
পাবনা জেলার শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে ১৮ ঘন্টা ধরে পাবনা থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১০টা থেকে পাবনা থেকে ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধের ডাক দেয় পাবনা জেলা মটর মালিক গ্রুপ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আজ শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনা মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পাবনা মোটর মালিক গ্রুপ, বাস মিনিবাস মালিক সমিতিসহ তিনটি সংগঠনের ডাকে পাবনা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। চলমান সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানান তিনি। তবে আঞ্চলিক ও স্থানীয় সকল রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মমিনুল ইসলাম জানান, পাবনা থেকে শাহজাদপুর মহাসড়ক হয়ে পাবনার সব বাস ঢাকায় যাতায়াত করে। কিন্তু মাঝে-মধ্যেই শাহজাদপুরের বাস মালিক-শ্রমিকরা বিভিন্ন অজুহাতে পাবনার বাস চালক ও শ্রমিকদের মারধর করা হয়। তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে শাহজাদপুরে পাবনার কোন বাস কাউন্টার রাখতে দেয় হয়নি। এরমধ্যে তারা চাটমোহর ভাঙ্গুড়া ফরিদপুর বাস কাউন্টার দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে শাহজাদপুরের নবীন বরণ বাসটি সমিতির নিয়ম না মেনে পাবনার কাশিনাথপুর থেকে মাওনা রুটে চলাচল শুরু করে। অথচ বিষয়টি তারা পাবনার মালিক গ্রুপকে কিছু বলেনি। একটা চিঠি দিয়ে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে এর আগেও অনেকবার শাহজাদপুরের বাস মালিক শ্রমিকরা পাবনার বাস চালক শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। তাদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে মূলত এই বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।'
পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপের অফিস সচিব আমিনুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘গত ২৫ জুন দুপুরের দিকে পাবনার একটি বাস কাশিনাথপুরে দাঁড়ানো ছিল। পাবনার বাসটি ছাড়ার আগেই নিয়ম না মেনে সেখানে থাকা শাহজাদপুরের নবীর বরণ বাসটি আগে ছেড়ে যায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে পাবনার একজন বাস শ্রমিককে মারধর করে নবীন বরণ বাসের শ্রমিকরা। তার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাবনা থেকে ঢাকা রুটেবাদ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’
পাবনা মোটর মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘বারবার কথা দেওয়ার পরও শাহজাদপুরের বাস শ্রমিকরা পাবনার গাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। গত ২৫ জুন আমাদের একজন শ্রমিককে মারধর করে। এর আগেও অনেক বার তাদের স্বেচ্ছাচারিতা ও শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় ধর্মঘট হয়েছে। নতুন করে তারা আবারও ঝামেলা সৃষ্টি করছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্থায়ী সমাধান চাই। যাতে আর কোনোদিন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’
এ বিষয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘পাবনা মোটর মালিক গ্রুপ বা সমিতি এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি। মালিক গ্রুপের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।’