যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফারসু গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহ আলম খান ফারসুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ।
শাহ আলম খান ফারসু ঝালকাঠি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা আইনজীবী সমিতির সামনে মিছিল করছিলেন। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ককটেল বোমা নিয়ে হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বিএনপির মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং নেতাকর্মীরা আহত হন।
বাদী মুক্তা বেগম দাবি করেন, তিনি তখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হামলার সময় তাকে বেধড়ক মারধর করা হলে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে গিয়েও তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেন মুক্তা বেগম।
ঘটনার দীর্ঘদিন পর দেশে ‘সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ও সুশাসন’ ফিরে আসায় তিনি সাহস করে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন। মামলায় শাহ আলম খান ফারসু ২৬ নম্বর আসামি। মামলা দায়েরের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফারসুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।