২২ জুন ২০২৫, ২২:৩৯

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ভোলায় দুই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা রাকিব ব্যাপারী ও তুহিন ফরাজী  © সংগৃহীত

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সহিংসতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (২১ জুন) রাতে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি দানিশ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক তানজিল হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন—দেউলা ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. রাকিব ব্যাপারী এবং টবগী ইউনিয়ন শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তুহিন ফরাজী।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রদলের জরুরি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুই নেতাকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক সদস্যপদসহ ছাত্রদলের সব কার্যক্রম থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁদের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এর আগে, সংঘর্ষ ও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন দেউলা ইউনিয়নের মজম বাজারে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এতে দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আনিসুর রহমান মারাত্মক আহত হন এবং তাঁর হাতের কবজি কেটে ফেলা হয়। সংঘর্ষে আরও অন্তত ১০ জন আহত হন। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনায় সরাসরি অংশ নেন আনিসুরের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি রাকিব ব্যাপারী।

অন্যদিকে, ১৪ জুন টবগী ইউনিয়নের নতুন হাকিম উদ্দিন বাজারে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম হামলার শিকার হন। অভিযোগ অনুযায়ী, টবগী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুহিন ফরাজীর নেতৃত্বে ছাত্রদল ও বিএনপি-যুবদলের কর্মীরা হামলা চালান।

দুই ঘটনায় অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে করে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। 

বিষয়টি নিয়ে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।