১৩ জুন ২০২৫, ১৬:১১

বিয়ে বাড়িতে নাচ নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২০

সংঘর্ষে আহত দুজন  © টিডিসি সম্পাদিত

মাদারীপুরে বিয়ে বাড়িতে নাচ-গানকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একইসঙ্গে বসতবাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা ও উত্তর খাগছাড়া গ্রামের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়া ভাঙ্গা গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে আলামিন সন্ন্যামাত(১৯), আব্দুল রব ঢালীর ছেলে জামাল ঢালী, ছত্তার ঢালীর ছেলে অলিল ঢালী, সিদ্দিক সন্ন্যামাতের ছেলে শাহ আলম সন্ন্যামাত, একই ইউনিয়নের উত্তর খাগছাড়া গ্রামের কদম চৌকিদারের ছেলে রেজাউল চৌকিদার, হাজী মোতালেব তালুকদারের ছেলে কাওয়াসার তালুকদার, ছোবাহান শিকদারের কামাল হোসেন, বাদল শিকদারের ছেলে সাব্বির শিকদার, শুভ কাজী, রোমান কাজী, আরিফ কাজী, ইব্রাহিম কাজীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

শুক্রবার (১৩ জুন)দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।   

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১১ জুন) রাতে উত্তর খাগছাড়া গ্রামের কাওসার তালুকদারের মেয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে নাচগান চলছিল। সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাগর বেপারীর (সাগর মেম্বার) গ্রুপ ও হাকিম কাজীর গ্রুপের কিশোররা অংশ নেয়। ওই সময় উপস্থিত মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার  বিকালে উত্তর খাগছড়া নতুন বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশ বসে। সালিশ চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে চলে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও অন্তত ১৫টি দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত  পক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে  গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।আহতরা বলেন, ইউপি সদস্য সাগর ব্যাপারী তার লোকজন নিয়ে আমাদের এলাকায় নাচতে এসে আমাদের এখানকার মেয়েদেরকে উত্ত্যক্ত করছে। আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের মারধর করেছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত  সাগর ব্যাপারীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।  

এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।