ঈদের ছুটিতে ভিড় বেড়েছে বেনাপোল সীমান্ত ও গদখালী ফুলবাগানে
কোরবানির ঈদের টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছুটে এসেছেন যশোরের বেনাপোল ও গদখালীতে। একদিকে সীমান্ত শহর বেনাপোল অন্যদিকে ফুলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত গদখালীর বাগান—এই দুটি আকর্ষণ ঈদে পর্যটকদের ভ্রমণতালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে এসেছেন সীমান্ত শহরের প্রকৃতি, সীমান্তগেট ও আশপাশ ঘুরে দেখতে। অনেকেই ছবি তুলেছেন পৌর গেট ও সাইনবোর্ডের সামনে।
সোমবার (৯ জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেনাপোল সীমান্তের পৌর গেট এলাকায় দেখা যায় এমন দৃশ্য।
সাতক্ষিরা ঘুরতে আসা আব্দুল হামিদ জানান, ‘ঈদের ছুটিতে ভিন্ন কিছু দেখতে চাচ্ছিলাম। টিভিতে বেনাপোল সীমান্তের কথা শুনে পরিবার নিয়ে চলে এলাম। ভালোই লাগল, গেটটা দেখে বর্ডার পর্যন্ত ঘুরেও এলাম।’
বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের অংশটির নাম পেট্রাপোল। এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। এখানে রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগও।
সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী। এ অঞ্চলে সারা বছরের মতো ঈদের সময়ও থাকে ফুলের উৎসব। গদখালী ও পার্শ্ববর্তী শার্শা উপজেলার প্রায় ৯০টি গ্রামে ৪ হাজার বিঘার বেশি জমিতে চাষ হয় গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাসসহ নানা ধরনের ফুল।
গদখালী বাজার এলাকার ফুল বিক্রেতা আব্দুল করিম বলেন, ‘ঈদের সময় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ঘুরতে আসে অনেকে। অনেকে আবার ফুল কিনেও নিয়ে যায়। বিক্রিও ভালো হয়।’
ফুল বাগান ঘুরতে আসা পর্যটকদের মধ্যে দেখা গেল যশোরের চৌগাছা থেকে আসা স্কুলছাত্রী মিনা খাতুনকে। সে জানায়, ‘মা-বাবার সঙ্গে ঈদের ছুটিতে ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে পাঁচ রকমের ফুল কিনেছি। বাগান ঘুরে খুব ভালো লেগেছে।’
সাংবাদিক আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঈদে যশোরের পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে বেনাপোল ও গদখালীতে পর্যটকদের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ঈদের ছুটিতে এসব এলাকায় হোটেল, রেস্ট হাউজ ও খাবার দোকানগুলোর ব্যবসাও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সীমান্ত শহরের সৌন্দর্য, বাণিজ্যের চিত্র, সীমান্তগেটের আকর্ষণ এবং ফুলের সৌরভ—এই চারটি বিষয়ের সম্মিলনে যশোরের পর্যটন সম্ভাবনার একটি উজ্জ্বল চিত্র ফুটে উঠেছে এবারের ঈদে।