০৩ জুন ২০২৫, ১৯:১১

আনোয়ারায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কোরবানির পশুর হাট  © টিডিসি ফটো

ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে, আর সেই সঙ্গে চাঙ্গা হয়ে উঠছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী, তৈলারদ্বীপ সরকারহাট, বারশতসহ বিভিন্ন এলাকায় জমজমাট বেচাকেনা চলছে কোরবানির গরু-ছাগল নিয়ে। তবে পশুর দাম ঘিরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভিন্নমত।

এ বছর আনোয়ারায় দেশি গরু ও ছাগলের সরবরাহ তুলনামূলকভাবে বেশি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১৯টি পশুর হাট বসেছে এবং কোথাও পশুর ঘাটতির আশঙ্কা নেই। তবে বেশ কিছু হাটে দাম কিছুটা বেশি থাকায় অনেকে হতাশা প্রকাশ করছেন। বিষয়টি নজরে রেখেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

পূর্ব মাদারবাড়ী থেকে হাটে আসা ক্রেতা তানজীদ হক রাকিব বলেন, শহরের তুলনায় এখানে দাম ও হাসিল অনেক কম। তাই এবার আনোয়ারাতেই পশু কিনতে এসেছি।

চকবাজার থেকে আসা আরেক ক্রেতা মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, পশুর সংখ্যা অনেক, তবে দাম শুনে পিছিয়ে যেতে হয়। তারপরও শহরের তুলনায় এখানকার বাজার তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্য, পরিবহণ খরচ ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম তুলনামূলক বেশি।  

বৈরাগ থেকে আসা বিক্রেতা আবদুস সালাম বলেন, গরু লালন-পালনে সারাবছর যে খরচ হয়েছে, তাতে দাম একটু বেশি চাইলেই হচ্ছে। ওষুধ, খাবার, শ্রমিক-সবকিছুর খরচ বেড়েছে।

বটতলী থেকে আসা আরেক বিক্রেতা জানান, আমি প্রায় ৫০টি গরু এনেছি, এর মধ্যে ২৫টি আশানুরূপ দামে বিক্রি হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত বিক্রি হবে বলে আশা করছি। হাটে পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা বেশ ভালো।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া জানান, এবার আনোয়ারায় পর্যাপ্ত গবাদিপশু রয়েছে। হাটে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ভালো। তবে কিছু হাটে অতিরিক্ত দাম চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে, যা আমরা মনিটর করছি। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রতিটি হাটেই ভেটেরিনারি টিম কাজ করছে।

চাতরী চৌমুহনী বাজারের ইজারাদার মোফাজ্জল হোসেন সোহেল বলেন, বাজারে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা আসছেন। বিক্রেতাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ, খাবার, থাকার জায়গা এবং টাকা যাচাইয়ের মেশিনসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করেছি। ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দ্যে পশু কিনতে পারছেন।