৩০ মে ২০২৫, ১৩:০৯

গাবতলীর পশুর হাট মাতাবে যশোরের ‘বাংলার বস-৫’

ষাঁড় ‘বাংলার বস-৫’  © টিডিসি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানী ঢাকার গাবতলীর পশুর হাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যশোরের আলোচিত ষাঁড় ‘বাংলার বস-৫’। কালো রঙের ফ্রিজিয়ান জাতের এই বিশাল ষাঁড়টি ইতিমধ্যে যশোরে সাড়া ফেলেছে।

ষাঁড়টির উচ্চতা প্রায় ৬৫ ইঞ্চি, দৈর্ঘ্য ৯৬ ইঞ্চির মতো। ওজন ৩০ মণ। দাম চাওয়া হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হুরগাতী গ্রামের খামারি আসমত আলী গাইন ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন।

আসমত আলী গত বছর বাংলার বস-৪ গাবতলীর হাটে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। এ বছর ঈদের জন্য তিনি প্রস্তুত করেছেন ৬টি ষাঁড়।

আসমত আলীর বয়স এখন ৩৯ বছর। তার খামারে পোষা ষাঁড় বেশ কয়েকবার দেশের কোরবানি হাটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঢাকার গাবতলী গরু হাটে কয়েক বছর ধরে তিনি ষাঁড় নিয়ে যান। তার প্রতিপালন করা ষাঁড়গুলোর নাম রাখেন বাংলার বস, বাংলার সম্রাট আর জলহস্তী। প্রথম যে ষাঁড়টি বড় করে গাবতলী নিয়ে যান, সেটির নাম ছিল বাংলার বস-১। এরপর বাংলার বস-৫ পর্যন্ত নামকরণ হয়েছে। এর আগে জলহস্তী-১ ও ২ বিক্রি করেছেন। এবার নতুন নামে যাচ্ছে আরেকটি ষাঁড়, বাংলার সম্রাট। যার লাইভ ওজন ২৫ মণ এবং দাম চাইছেন ১০ লাখ টাকা।

আসমত আলী জানান, মাত্র দুটি গরু দিয়েই শুরু হয় তার খামার। গত ৪-৫ বছরে তিনি ৪৫ থেকে ৬০টি পর্যন্ত গরু পালন করেছেন। তার তিনটি শেড রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ১৩ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান

আসমত আলী বলেন, ‘আগামী ১ জুন ষাঁড়গুলো গাবতলীর হাটে নিয়ে যাব। আশা করি এবারও কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আমাদের মতো ক্ষুদ্র খামারিদের পাশে দাঁড়ালে আমরাও উন্নতমানের ষাঁড় প্রতিপালন করতে পারব। দেশে মাংসের চাহিদা পূরণে সক্ষম হব। ইতোমধ্যে আমার প্রতিপালন করা ষাঁড়গুলো বেশ নাম করলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কখনোই আমার খামারে আসেননি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের উপজেলাটি বেশ বড়। এখানে খামার ও ব্যক্তিপর্যায়ে সবার কাছে পৌঁছানো দুরূহ হয়ে পড়ে। কেননা, আমাদের লোকবলের সংকট (৬ জন) রয়েছে। তারপরও বিভিন্ন খামারে, ব্যক্তিপর্যায়ে যারা গরু লালন-পালন করেন, তাদের পরামর্শসহ সার্বিকি সহযোগিতা করা হয়।’