২৯ মে ২০২৫, ২০:২২

মেঘনা নদীর পানিতে বন্দি ৩ হাজার মানুষ

মেঘনার পানিতে বন্দি ৩ হাজার মানুষ  © টিডিসি

ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়ে ৫-৭ ফুট উচ্চতার জোয়ারে বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকেই ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিখন বণিক জানান, চরকলাতলী ও চরনিজামসহ বেড়িবাঁধবিহীন বেশ কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণরূপে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চরকলাতলীতে প্রচুর গবাদিপশু মৃত্যুবরণ করেছে। বুধবার রাত থেকে প্রবল দমকা হাওয়ার সঙ্গে টানা ভারি বর্ষণে পুরো উপকূলজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে মেঘনার পানি হঠাৎ বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, চরমরিয়ম, সোনারচর ও চরযতিনসহ একাধিক গ্রাম পানির নিচে। এছাড়া ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের লঞ্চঘাট, আন্দিরপাড় ও কাউয়ারটেক এলাকার ঘরবাড়ি ও সড়কও পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, নদীর পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে, যার ফলে ব্যাপক প্লাবন দেখা দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও কাজ করে যাচ্ছেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ ও দুর্যোগ পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।