২৯ মে ২০২৫, ০৭:৫৫

চোরকে ছাড়িয়ে নিল নিষিদ্ধ আ.লীগ-ছাত্রলীগ নেতা, আহত ৮

আহতরা হাসপাতালে  © টিডিসি ফটো

মাদারীপুরের কালকিনিতে চোরকে ছাড়িয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আটজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৮ মে) রাতে উপজেলার পুয়ালী মাদারীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন- একই এলাকার রশিদ হাওলাদারের ছেলে ইউসুফ হাওলাদার (২৩) আবু ইসমাইল (২৪) ও তার স্ত্রী লুৎফুরন্নেছা এবং আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে তরিকুল ইসলাম। আহত অন্যদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

ভুক্তভোগী পরিবার  ও পুলিশ এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে রাতে পূয়ালী মাদারীপুর এলাকার একটি  মিলের মটর চুরি করেন হারুন হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদার নামের এক যুবক। মটর চুরি করা অবস্থায় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরের দিন সকালে সালিশ চুরির কথা স্বীকার করেন তিনি। জীবনে আর চুরি না করার অঙ্গীকারে স্থায়ীভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া কথা হলেও আওয়ামী লীগ নেতা জুন্নু সরদার ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক  আবু সাইদ লিখন সরদার চোরের ভগ্নিপতি শাহাবুদ্দিন ৩০ থেকে ৪০ জন লোক নিয়ে এসে তারা চোরের পক্ষ হয়ে চোরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে মসজিদের ইমাম ও নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত আটজন। 

আহত লুৎফুরন্নেছা বলেন, ‘আমাদের মিলের মটর চুরি করছে, উল্টো চোর সবুজ লোকজন নিয়ে এসে আমাদেরকে মারধর করছে এবং ছেলেকে লোহা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এদের সঠিক বিচার চাই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মেরে ফেলার  হুমকি দিতেছে।’

আহত ইসমাইল ও ইউসুফ বলেন, ‘আমাদের মোটর চুরি করছে। আমরা চোরকে হাতেনাতে ধরছি। পরে স্থানীয়রা ১০ মে সকালে বসে। পরে সবুজ চোর তার ভগ্নিপতিরা আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে এনে আমাদেরকে মেরে চোরকে নিয়ে গেছে। আমরা কেন সালিশ ডাকলাম এজন্য আমাদেরকে মাছ ধরা করেছে। আমরা এর কঠিন বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চোর সবুজ ও আওয়ামী লীগের নেতা আবু সাইদ লিখন সরদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সারা মেলেনি। 

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খন্দকার মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’