পোস্টার লাগানোর বিরোধে বিএনপি কর্মী খুন, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উপজেলা যুবদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ মে) বিকেলে নিহতের ছোট ভাই খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের পর যুবদল নেতা তাজুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার তাজুল ইসলাম পৌরসভার মার্কাস মোড় এলাকার আমজত হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমানের পক্ষে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা গত বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌর শহরসহ বিভিন্ন স্থানে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছামূলক বিলবোর্ড লাগাতে যান। দুর্গাপুর পৌরসভার পুলিশ মোড় এলাকায় বিলবোর্ড লাগানোর সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্মরণিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন এতে বাধা দেন এবং বেশ কিছু বিলবোর্ড ভাঙচুর করেন।
ঘটনার পর হামিদুর রহমান বিষয়টি দুর্গাপুর থানা পুলিশ ও জামাল উদ্দিনের বাবা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হোসেন আবু চানকে লিখিতভাবে জানান। এতে জামাল উদ্দিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তাঁর নেতৃত্বে বুধবার রাত আটটার দিকে বেশ কিছু মোটরসাইকেলযোগে একদল লোক আব্বাছনগর এলাকায় গিয়ে হামিদুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে হামিদুর রহমানের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম নিহত হন এবং আরও কয়েকজন আহত হন।
বাদী খায়রুল ইসলাম অভিযোগ, জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একপর্যায়ে শফিকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মামলায় তাজুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে আজ শনিবার বিকেলের দিকে নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।’