২৪ মে ২০২৫, ১১:২৭

নির্যাতনের সাড়ে ৪ মাস পর সেই প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অলিউজ্জামান মন্টু  © সংগৃহীত

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ সৈয়দ করম আলী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অলিউজ্জামান মন্টুর ওপর হামলা ও নির্যাতনের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বাড়ি ফিরলে তাকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।

গতকাল শুক্রবার (২৩ মে) বিকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অলিউজ্জামান ওরফে মন্টু (৬৮) রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার চাচাতো ভাই ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আত্মগোপনে ছিলেন। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি রাতে তিনি বিড়ালদহের বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর গত ৪ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় মাইপাড়া বাজারে চা পান করতে গেলে স্থানীয় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে যান। তাকে বিড়ালদহের পাশে নন্দনপুরে নিয়ে গিয়ে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে ফেলা হয়।

গুরুতর আহত অলিউজ্জামান মন্টুকে উদ্ধার করে প্রথমে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শেষে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিড়ালদহ সৈয়দ করম আলী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অলিউজ্জামান মন্টু'র বিষয়ে তারা পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাননি। বিষয়টি খোঁ নেওয়া হবে।