তিন সীমান্ত দিয়ে আরও ১০৩ ভারতীয়র অনুপ্রবেশ
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে করেছে ভারতের ১০৩ নাগরিক। তাদের মধ্যে ৭৩ জন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে আটক হয়েছে। বাকি ৩০ জনকে এখনো আটক করা যায়নি বলে খবর পাওয়া গেছে।
তবে এ ঘটনার পর সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ৭৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। এর আগে বুধবার (৭ মে) বিকালে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করলে বিজিবি তাদের আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলার মানধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ণ শীল বলেন, বিজিবি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৫ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে ৯ জন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিনটি শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।
তিনি আরও বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিঙ্গাসাবাদ করলে তারা জানায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর থেকে তারা ভারতের আসামে বসবাস করে আসছিল। হঠাৎ ভারতীয় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিক ভান্ডারে নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। তারা তিন শতাধিক লোক ছিলেন। বিএসএফ তাদের কয়েকজনকে ধলই সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে ‘পুশ-ইন’ করলে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তবে অন্যদের কোন সীমান্তে নিয়ে গেছে, তারা বলতে পারেননি।
এদিকে বুধবারের ঘটনার পর থেকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে শতাধিক মানুষ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসে বিজিবি।
এরই মধ্যে ধলই সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৫ জন, পাল্লাতল ও লাতু সীমান্ত থেকে ৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে। কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে আরও ৩০ জন অনুপ্রবেশ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এখনো তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন ও তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।