০২ মে ২০২৫, ১৬:৫৩

কৃষকদল ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মসজিদের ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মুসল্লি ও স্থানীয়দের বিক্ষোভ  © সংগৃহীত

গাইবান্ধায় মসজিদের জায়গা বিক্রি করার কথা বলে নেওয়া ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষক দল নেতা রুহুল আমিন ওরফে আল আমিন ও যুবলীগ নেতা মোমিন মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা। আজ শুক্রবার (২ মে) দুপুরে কলেজ রোড তিনগাছ তলা সংলগ্ন এলাকায় আল্-আকসা জামে মসজিদের সামনে গাইবান্ধা-নাকাইহাট সড়কে রাস্তা অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ওই এলাকার ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা। 

অভিযুক্ত কৃষকদল নেতা আল আমিন জেলা কৃষকদলের সদস্য ও যুবলীগ নেতা মোমিন গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের সদস্য। এ ছাড়াও আল আমিন ওই মসজিদের সাবেক সভাপতি ও মোমিন সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।  

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘রুহুল আমিন মসজিদের জায়গা বিক্রি করার কথা বলে ১১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু টাকা নিলেও দীর্ঘদিনেও তিনি জমি দলিল করে দেননি। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও তিনি বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে তার কোনো তোয়াক্কায় করেননি। এ ছাড়া তার সাথে যুবলীগের নেতা ও মসজিদের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোমিন মিয়ার যোগসাজশে মসজিদের এসব টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানান তারা।’

বিক্ষোভে ওই মসজিদের সাবেক ক্যাশিয়ার ও ব্যবসায়ী মাসুম বলেন, ‘মসজিদের জায়গা বিক্রি করতে চাইলে আমরা রুহুল আমিন ওরফে আল আমিনকে ১১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা দেই। এই টাকা আমাদের এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তির দানের টাকা। কিন্তু আল আমিন ১১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে আজও জমির দলিল করে দেননি। তিনি ৫ শতক জায়গার বাকি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকাও নেয় না। আমাদের দেওয়া ১১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকাও ফেরত দেয় না।

তিনি অভিযোগ করেন, আজ আমরা জমি এবং টাকার কথা বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়। মামলার ভয় দেখানো হয়। আমরা সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে এসবের প্রতিকার চাই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ওই মসজিদের মুসল্লি সুমন বলেন, আমরা অনেক কষ্টে মসজিদের জায়গার জন্য ১১ লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু রুহুল আমিন ও মোমিন যোগসাজশ করে টাকাটা আত্মসাৎ করেছেন। জমি রেজিস্ট্রি করে দেননি। আমরা এসব নিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। থানার মিটিংয়ে রুহুল আমিন বিএনপির নেতাকর্মী নিয়ে গিয়ে দুই মাসের সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই তিনি জমিতো দলিল করে দেননি। বরং নিজেদের ইচ্ছামতো বল প্রয়োগ করে বায়তুল আকসা জামে মসজিদের নাম পাল্টে সালাফী জামে মসজিদ নাম দিয়েছেন।