২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত ২০

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন  © টিডিসি ফটো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় চারজনকে আটক করে পুলিশ।

আহতরা হলেন: আমসু মিয়া (২৪), আকবর মিয়া (৫০), বকুল মিয়া (২৮), মোনেয়ম খাঁ (৩৭), রঙ্গু মিয়া (৩৮), মনির হোসেন (৩৫), তোফাজ্জল মিয়া (৩৫), সাইফুল ইসলাম (২৫), মরম ইসলাম (৩৫), জাকির হোসেন (৩৩), লিটন মিয়া (৩৩), আতিক মিয়া (২৫), রহিছ মিয়া (৫৫), মহরম আলীর স্ত্রীসহ (২৮) ২০ জন। 

গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খাদুরাইল গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক রায়হান শ্রাবণ এবং একই গ্রামের বাসিন্দা, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান লিটনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মোখলেছুর রহমান লিটনসহ ১৩ জনের নামে স্থানীয় সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর থেকে লিটন এলাকা থেকে গা ঢাকা দেন।

আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজে এডহক কমিটি গঠনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ

এরই মধ্যে রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শফিক রায়হান শ্রাবণের সমর্থক গিয়াস উদ্দিন, লিটনপন্থী আমিন মেম্বারকে মারধর করেন। এর জের ধরে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে আবারও দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আমিন মেম্বারের পক্ষের প্রায় ১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’