ফিলিস্তিনে নৃশংসতার প্রতিবাদে সোচ্চার ফেনী, ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক

ফিলিস্তিনে নৃশংসতার প্রতিবাদে সোচ্চার ফেনী
ফিলিস্তিনে নৃশংসতার প্রতিবাদে সোচ্চার ফেনী  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে চলমান নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ ও গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) ফেনী পাইলট হাই স্কুল থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার ফেনী পাইলট হাই স্কুল প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

এ সময় ’ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চায়’ ’জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই’ ’এ জিহাদে জিতবে কারা বিশ্বনবীর সৈনিকেরা’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো, ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘সাবিলুনা সাবিলুনা আল জিহাদ আল জিহাদ’, ‘ইহুদিবাদ নিপাত যাক ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘ফিলিস্তিন আমাদের আমাদের থাকবেই’, সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলিমদের ওপর যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে অবস্থান নিতে হবে। যারা এই গণহত্যার মদদ দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে। এই মুহূর্ত থেকেই আমাদের ইসরায়েলের সব পণ্য বয়কট করতে হবে। এটাই হতে পারে আমাদের ন্যূনতম প্রতিরোধের পথ।

তারা আরও বলেন, আজ বিশ্ব বিবেক যেন নিশ্চুপ। কোথায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো? কোথায় আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ? আমাদের শক্তি সঞ্চয় করে সংগঠিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারণ সমস্ত মুসলমানই ভাই ভাই, একটি দেহের মতো। দেহের কোনো অঙ্গ ব্যথিত হলে যেমন সারা শরীরেই তার প্রভাব পড়ে, তেমনি একজন মুসলমান নিরাপদ না থাকলে অন্যরাও নিরাপদ থাকতে পারে না।

বক্তারা আক্ষেপ করে বলেন, মুসলিম হিসেবে আমাদের লজ্জা হয় যে আমরা এখনও এই অসহনীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো লড়াই শুরু করতে পারিনি। আমরা যেন ভুলতে বসেছি মুসলমানদের গৌরবময় ঐতিহ্য, ঐক্য ও প্রতিরোধের ইতিহাস। এখনই সময় ঘুম ভাঙানোর, প্রতিবাদের আগুন জ্বালানোর।

সমাবেশে বক্তৃতাকালে সামাজিক সংগঠক ওসমান গনি রাসেল বলেন, আজ ফিলিস্তিনের মাটিতে যে নির্মম গণহত্যা চলছে, তা কেবল ফিলিস্তিনিদের উপর আঘাত নয়, বরং এটি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উপর একটি চরম অবমাননা। শিশু, নারী, নিরীহ মানুষদের রক্তে আজ রঞ্জিত গাজা। অথচ বিশ্ব বিবেক চুপ করে আছে। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা সবাই আজ নিশ্চুপ।

ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল আজিজ বলেন, এই মুহূর্ত থেকেই আমাদের ইসরায়েলের সকল পণ্য বয়কট করতে হবে। এটাই হতে পারে আমাদের পক্ষ থেকে ন্যূনতম প্রতিরোধের একটি কার্যকর পথ।তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের শিশু, নারী ও সাধারণ মানুষের উপর যে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চলছে, তার বিরুদ্ধে শুধু কণ্ঠ নয়, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর সেটি শুরু হতে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের মাধ্যমে।


সর্বশেষ সংবাদ