ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়ম, সংবাদ প্রকাশের পর নবনিয়োগকৃত ডিলার বাতিল

নবনিয়োগকৃত ডিলার বাতিল
নবনিয়োগকৃত ডিলার বাতিল  © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ওএমএস ও ফেয়ার কার্ড ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর ব্যাপক সমালোচনা হয়। এ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে সংবাদ প্রকাশের পর নবনিয়োগকৃত ডিলারদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

গলাচিপা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে রবিবার (১৬ মার্চ) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগের নোটিশ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ রেজুলেশন স্মারক ৩৬ : ১৬/০৩/২০২৫ বাতিল করা হলো। এতে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমোদন রয়েছে।

এর আগে অভিযোগ ওঠে, উপজেলায় ৮টি ওএমএস ডিলারের জন্য ৩০টি এবং ১২টি ইউনিয়নের ৬৮টি ফেয়ার কার্ডের জন্য ৩০৬টি আবেদন জমা পড়ে। তবে প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফি-এর চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ঘুষ গ্রহণ এবং অনিয়মের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিদের ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন আবেদনকারী অভিযোগ করেন, ডিলারশিপ পেতে প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দাবি করা হয়েছে। অনেক যোগ্য আবেদনকারী টাকা না দেওয়ায় ডিলারশিপ পাননি, বরং অনুপযুক্তদের হাতে নিয়োগ গেছে।

এ ঘটনায় বুধবার সাধারণ শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারীরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দায়ী কর্মকর্তাদের অপসারণ ও ডিলার বাতিলসহ অনিয়মের তদন্ত দাবি করেন। এ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে 'ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের আপসারণের দাবি' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, "ডিলার নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" এরপর তদন্তের ভিত্তিতে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান সিকদার ১৬ মার্চ একটি চিঠির মাধ্যমে নবনিয়োগকৃত ডিলারদের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

নবনিয়োগকৃত ডিলার বাতিল হওয়ায় সাধারণ মানুষ আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। 


সর্বশেষ সংবাদ