১৫ মার্চ ২০২৫, ২২:০১

মসজিদের চিলেকোঠায় শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ

মসজিদের চিলেকোঠায় শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ
চরফ্যাশন খাস মহল জামে মসজিদ  © সংগৃহীত

ভোলার চরফ্যাশনে তারাবি নামাজ পড়তে আসা এক শিশু বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। আহত শিশুটি বর্তমানে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে তারাবির সময় চরফ্যাশন খাস মহল জামে মসজিদের তৃতীয় তলায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে আহত শিশুর পরিবার। ভিক্টিম নির্যাতনের শিকার শিশুটি চরফ্যাশনের একটি মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণি শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার তারাবির নামাজের সময় (৭.২৩ মি) মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে নিয়ে চরফ্যাশন খাস মহল জামে মসজিদের সামনে ঘুরা ফেরা করছে। ৭ টা ২৯ মিনিটের সময় শিশুটিসহ পাঞ্জাবি টুপিপড়া ওই মুসল্লি মসজিদের ভিতরে ঢুকছেন। এর পরই শিশুটিকে মসজিদের তিন তলায় নিয়ে যায়। রাত ৮টা ২৮ মিনিটের সময় শিশুকে পাঞ্জাবি টুপি খোলা অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায়।  মসজিদের পিছন দিয়ে থেকে বের হয়ে মোটর সাইকেলে দ্রুত সটকে পড়েন অভিযুক্ত ব্যক্তি।

নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার জানান, শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ পড়তে আলিয়া মাদ্রাসা মসজিদে যায় শিশু ভিক্টিম। সেখানে তার সঙ্গী মামাতো ভাইকে খুঁজে না পেয়ে বেড়িয়ে আসার পথে পাঞ্জাবি-টুপি পড়া এক ব্যক্তি তাকে মোটরসাইকেলে ঘুরানোর প্রলোভন দেখিয়ে মোটর সাইকেলে তোলে। মাদরাসার মাঠ ও হেলিপ্যাড এলাকায় ঘুরানো শেষে কৌশলে শিশুটিকে খাস মহল জামে মসজিদের তিন তলায় নিয়ে বলৎকার করে। তারাবির নামাজ পড়তে আসা অন্য শিশুরা বিষয়টি দেখতে পেলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করান। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিচার চেয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার।

এ দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি ঝুঁকিমুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

চরফ্যাশন থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনও ভিক্টিম পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।