চাকরিতে আবেদনের ব্যাকডেট ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি

সংবাদ সম্মেলনে
সংবাদ সম্মেলনে  © সংগৃহীত

করোনার কারণে স্থগিত থাকা নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে করোনাকালীন সময় বিবেচনায় ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাকডেটে আবেদন করার সুযোগ দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ সময়কে অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে ব্যাকডেটে আবেদন করার সুযোগ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি করা হয়। 

চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সারোয়ার আলম উদয়, মৌরিশি মুন, আব্দুর রহমান তুষার, সায়মা ইসলাম, আমিনুর রহমান, সোলায়মান হোসেন, হাফিজুর রহমান, নাইমুন নাহার, ওবায়দুর জয়, জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনা মহামারিতে আমরা চাকরি প্রার্থীরা প্রায় ২ বছর কোনো বিজ্ঞপ্তি পায়নি এবং নিয়োগ পরীক্ষাও হয়নি। লকডাউন উঠিয়ে দেওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০-৩০টি পরীক্ষা একই সময়ে ও একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কারণে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া ব্যাকডেটে আমরা মাত্র ১৩ শতাংশ বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি। যার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সার্কুলার ছিল ৮-৯টি আর বাকি সবই ছিল তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞপ্তি। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রথমে ৫ মাসের একটি ব্যাকডেট দিলেও তখন কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি বললেই চলে। তার পরবর্তী ১২ মাস আর কোনো ব্যাকডেট বা বয়স ছাড় দেওয়া হয়নি। কারণ, করোনার কারণে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছিল এমনকি সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোও বন্ধ ছিল। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০২১ সালের ১৯ আগস্টে যখন ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স ছাড়/ব্যাকডেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো তখন আর মাত্র ৪ মাস অবশিষ্ট ছিল। এর মধ্যে যাদের বয়স শেষ হয় তারা ব্যাকডেটের সুবিধার আওতার বাইরে থেকে যায়। করোনার শুরুতে যাদের বয়স ২৮ বা ২৯ ছিল তখন তাদের বয়স ৩০ বা ৩০ এর অধিক। ফলে চাকরি প্রার্থীরা বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে ২৮ বছর পাচ্ছে অর্থাৎ নিজের যোগ্যতা প্রমাণের ক্ষেত্রে ২ বছর কম পাচ্ছে যা সাংবিধানিক অধিকার পরিপন্থী। 

এ অবস্থায় বিসিএস এবং ব্যাংকসহ বয়স ছাড়/ব্যাকডেটের সময়সীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার কারণে আমরা বেকার ছাত্র সমাজ শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত। বয়স ছাড়ের এ সুবিধা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলে আমরা ক্যারিয়ারের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে সক্ষম হব।


সর্বশেষ সংবাদ