প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা: প্রার্থীদের যে ১৯ নির্দেশনা ডিপিই
আগামী শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিন ধাপের প্রথম ধাপে ২২টি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ২০ মে এবং তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামী ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামী শুক্রবার আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, আজ শনিবার দুপুর থেকে প্রথম ধাপের পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) এই (admit.dpe.gov.bd) ওয়েবসাইটে গিয়ে Username এবং Password দিয়ে প্রবেশপত্র ডাউনলােড করতে পারবেন। তাছাড়া এসএসসির রােল, বাের্ড ও পাশের সন দিয়ে লগইন করেও প্রবেশপত্র ডাউনলােড করা যাচ্ছে।
এই প্রবেশপত্রে পরীক্ষার তারিখ ও সময়ের পাশাপাশি পরীক্ষার কেন্দ্রও উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া পরীক্ষার্থীদের ১৯টি সাধারণ নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
১) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এই প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে;
২) পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ এক ঘণ্টা পূর্বে প্রার্থীকে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করতে হবে এবং পরীক্ষা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না;
৩) প্রবেশপত্র ব্যতিরেকে কোন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোন কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটিব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা খড়ি জাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক্স হাত ঘড়ি বা যে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, যোগাযোগ যন্ত্র বা এই জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যদি কোন পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪) পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে অবস্থানকালে অবশ্যই উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে;
৫) আবেদনপত্রে পরীক্ষার্থীর প্রদত্ত ছবি হাজিরা শীটে থাকবে এবং ইনভিজিলেটর এই ছবি দিয়ে পরীক্ষার্থীকে যাচাই করবেন। ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;
৬) আবেদনপত্রে প্রার্থীর দেয়া স্বাক্ষরের সাথে পরীক্ষার হাজিরা শীটে এবং ওএমআর শীটে প্রদত স্বাক্ষরসহ সকল তথ্যে মিল থাকতে হবে;
৭) পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্রে অবশ্যই কালো বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে;
৮) একজন পরীক্ষার্থীর জন্য এএমআার ফরমের সেট কোড পূর্বনির্ধারিত থাকবে, পরীক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত ওএমআর ফরমের সেট কোডটি এ প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা আছে;
৯) পরীক্ষার হলে যে ওএমআর ফরমটি দেওয়া হবে, সেখানে সেট কোডের ঘরে প্রবেশপত্রে উল্লিখিত কোডটির বিপরীতে বৃত্ত ভরাট করতে হবে;
১০) পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের সেট কোডসমূহ এবং ওএমআর ফরমের সেট কোড ভিন্ন হবে। পরীক্ষার্থীর ওএমআার সেট কোড এর বিপরীতে কোন সেট কোডের প্রশ্ন পাবেন তা পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে কক্ষ পরিদর্শক জানিয়ে দিবেন। পরীক্ষার্থী সঠিক কোডের প্রশ্নটি পেলেন কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত হবেন;
১১) প্রবেশপত্রে নির্ধারিত এমআর-এর সেট কোড ব্যতীত অন্য সেট কোডে পরীক্ষা দিলে উত্তরটি বাতিল বলে গণ্য হবে;
১২) রোল বা সেট কোড এর বৃত্ত পূরণে কোনো ভুল হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে;
১৩) হাজিরা শীটের সঠিক স্থানে পরীক্ষার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে এবং হাজিরা বৃদ্ধটি পূরণ করতে হবে। তা না হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে;
১৪) ওএমআর ফরমের উপরিভাগের নির্ধারিত সকল টেক্সটবক্স নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে, অন্যথায় উদ্ভবপরটি বাতিল বলে গণ্য হবে;
১৫) পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে আপনার আসন কোন কক্ষে তার তালিকা টানিয়ে দেয়া হবে;
১৬) লিখিত পরীক্ষায় বা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করে না;
১৭) চূড়ান্ত ফলাফলে প্রতিটি উপজেলা/শিক্ষা থানার জন্য নিয়োগযোগ্য মেধাতালিকা ব্যতীত কোন অপেক্ষমান তালিকা/প্যানেল প্রস্তুত করা হবে না;
১৮. লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করা হবেনা;
১৯. পরীক্ষা সকল তথ্যাদি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।