ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা পুনর্বহালে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত আলটিমেটাম
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগে ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা পুনর্বহালে সরকারকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ‘আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন। শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে এ আলটিমেটাম ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশের আগে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি টিএসসি এলাকায় শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বর ও শাহবাগ ঘুরে আবার টিএসসিতে ফিরে আসে। মিছিল শেষে রোকেয়া হলের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোটা পুনর্বহাল না করা হলে ২৮ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী অবরোধেরও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যসচিব অলিক মৃ বলেন, ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করা হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে আদিবাসী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে আমরা সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখতে পাইনি।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীর সন্তানদের জন্য চাকরিতে ৫০ শতাংশ কোটা দাবি
কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ২৭ এপ্রিলের মধ্যে কোটা পুনর্বহাল না করা হলে ২৮ এপ্রিল আমরা আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ দেশের সব আদিবাসী ছাত্রসংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
এর আগে ২০১৮ সালে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর নবম থেকে ১৩ তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটা ব্যবস্থা ছিল তা বাতিল হয়ে গেল।
কোটা সংস্কারের পরিপত্রে বলা হয়, সব সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে এবং বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।