পর্দা করতে সমস্যা, তাই চাকরি ছেড়েছেন সেই বিসিএস ক্যাডার
সম্প্রতি স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি (বিসিএস) ছেড়ে আলোচনায় এসেছেন ময়মনসিংহের জান্নাত ই হুর সেতু। শুরুতে তিনি জানিয়েছিলেন, সন্তানদের সময় দিতে চাকরি ছেড়েছেন। তবে এর পাশাপাশি পর্দার বিধান মানতে সমস্যা হওয়াকেও চাকরি ছাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সেতু।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি যে চাকরিটা করি, সেখানে শুধু নারীরাই কাজ করেন না। সেখানে পুরুষরাও চাকরি করেন। এ ছাড়া মাঠে গিয়ে অনেক সময় কাজ করতে হয়। যে কারণে অনেক সময় পর্দার খেলাপ হয়। এটা আমার ভালো লাগত না। কারণ পর্দা করতে আমি পছন্দ করি। ইসলামি আদর্শে জীবন গড়তে চাই। এ জন্য পর্দার বরখেলাপ হলে মন খারাপ থাকত।
২৯তম বিসিএসে মৎস ক্যাডারে যোগ দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেতু। তার স্বামীও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সানোয়ার রাসেল। তিনিও মৎস ক্যাডারে কর্মরত আছেন। বর্তমানে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত আছেন রাসেল।
রাসেল-সেতু দম্পতির তিন কন্যা সন্তান। কর্মজীবন থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে সেতু জানুয়ারি মাসে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ থেকে তিনি ছুটিতে যান। তার চাকরি ছাড়াকে উদযাপন করেছে পরিবার। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে বাসায় আসার পর কেক কেটে তা উদযাপন করা হয়। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন স্বামী রাসেল। এরপরই ভাইরাল হয় সেই পোস্টটি।
আরও পড়ুন- সন্তানদের সময় দিতে চাকরি ছাড়লেন বিসিএস ক্যাডার মা
স্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রাসেল বলেন, স্বামী হিসেবে আমি আমার স্ত্রীর চিন্তা ও দর্শনকে সম্মান জানাই। আমি মনে করি সংসারের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব স্বামী হিসেবে আমারই। কাজেই আমার স্ত্রী ঘরে ও বাইরে দ্বিগুণ পরিশ্রম না করে যদি শুধু ঘরের দায়িত্ব নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেন, তবে আমারও উচিত হবে তার এই সিদ্ধান্তে পাশে থেকে সর্বদা তাকে সহযোগিতা করে যাওয়া।